মম কন্দরে নরকের আগুন জ্বলে ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি,
হৃদয়ে কন্দরে অগ্নি ঝান্ডা উড়িয়ে হাসে সর্বনাশী।
বিষ পিয়ালায় চুম্বক দিয়ে সাজি অমৃত পানি,
আমার অভিধানে নেই কোনো ব্যর্থতার বাণী।
আমি বিশ্ব উনুনে জ্বলা লৌহ, চাতুরী,
বিশ্ব কামার আমার পিছে চালায় হাতুড়ি।
আমি নিজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হানি,
জাহান্নামের আগুন পারি দিয়ে গেছে জান্নাতি, মানি।
আমি চিরো তরুণ, আমি চিরো যুবক,
অনাগতদের সম্মুখে চিরো ধ্রুবক।
রণাঙ্গনে শত্রুর মুন্ডু নিয়ে করি প্রস্থান,
আমার হৃদয়ে নেই কোনো পরাজয়ের স্থান।
রণাঙ্গনে হেরে গিয়ে হু হু করে কাঁদি’না, ঝড়ে না কো জল,
জাহান্নামের আগুন মুখে মেনে নেই, এটাও যুদ্ধের ফল।
শত নরকের বিষ জ্বালা বুকে নিয়ে ঘুরে ফিরে চলি, হেতু,
সুযোগ পেলে রণাঙ্গনে হবে মহা ধূমকেতু।
যুদ্ধে হেরে–গেছি বলে বুকে নেই বেদনার ভয়,
হৃদয়ে শুধু বইছে ঝড়–ঝাপটা মহাপ্রলয়।
তিলক রক্তের ছাপ দেখে নিন্দুক হো হো হেসে উঠে যদি,
নিন্দুকের হো হো হাসি আমার শক্তি যোগায় নিরবধি।
আমি শতবার পরে যাই হাজার বার ওঠে দাঁড়াই,
শোক ফেলে সাহসের দাঁড় বেয়ে সফলতার বুকে নোঙর ফালাই।
আমি স্রষ্টার সৃষ্টি সিজদাহ্ বিশ্বাসী,
নিজের হাতেই দোয়ার কলমে তকদীর লিখি।
কবি মোঃ আরিফুল ইসলাম আকাশ
নলছিটি, ঝালকাঠি, বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :