সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সাধারণ মানুষ কম খেয়ে বেঁচে আছে, এই অবস্থায় সরকারের উন্নয়নের বুলি হাস্যকর।
রাজধানীর পুরান পল্টন মোড়ে ‘দাম কমাও, জান বাঁচাও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও’ স্লোগানে দেশব্যাপী ঘোষিত দাবি পক্ষের শেষ দিন সিপিবির সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
সিপিবি নেতারা বলেন, ব্যবসায়ী, মধ্যস্বত্বভোগী আর মজুতদারদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার আবারও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সরকারের আর গদিতে থাকার অধিকার নেই।
তারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, নির্বাচনকে টাকা, পেশীশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত করা এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।
তারা বলেন, এলাকায় এলাকায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলে ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদ ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজেদুল হক রুবেল, হাফিজুল ইসলাম, জলি তালুকদার ও আবিদ হোসেন।
নেতৃবৃন্দ শাসকশ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলোর গালভরা বুলির ফাঁদে পা না দিয়ে নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের শক্তি সমাবেশ বাড়ানো এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিজ নিজ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নেতারা বলেন, গ্রাম থেকে শহরে সব জায়গায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ভোটাধিকার নেই। ভয়ের পরিবেশ চলছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে, তারা কম খেয়ে বেঁচে আছে। এই অবস্থা রেখে উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের বুলি হাস্যকর।
তারা বলেন, ভরা মৌসুমে কৃষক ধানের দাম ঠিক মতো পাচ্ছে না, অথচ চালের বাজারে আগুন।
বড় বড় করপোরেট গ্রুপ, দালাল আর মজুতদারদের হাতে তেলের ব্যবসার মতো ধানের ব্যবসা জিম্মি। খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা, উৎপাদক, সমবায় ও ক্রেতা সমবায় প্রতিষ্ঠা করা এবং কঠোর হাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ না করলে এই পরিস্থিতি পাল্টানো যাবে না।
সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালুর দাবি জানান নেতারা। তার আগে ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা ও পণ্য বাড়ানো এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরবরাহের দাবি জানান।
সিপিবি নেতারা নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :