অক্সফোর্ডের টিকা মানবদেহে প্রথম ধাপে প্রয়োগের পূর্ণাঙ্গ ফল আজ প্রকাশ করবে মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসেবে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম দু’জনের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাদের মধ্যে একজন নারীবিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটো। তারপর প্রথম পর্যায়ে স্বল্প সংখ্যক মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড। এই পর্যায়ের ট্রায়ালেও ভ্যাকসিনের প্রভাব সন্তোষজনক বলেই দাবি করা হয়েছে।
বিশ্বের দুই শতাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবন প্রচেষ্টার মধ্যে যে ১৪টি মানুষের শরীরে ট্রায়াল করা হয়েছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডার্না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডই সবথেকে এগিয়ে রয়েছে।
মডার্না তাদের প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪৫ জন প্রাপ্তবয়স্ককে ২৫ মাইক্রোগ্রাম, ১০০ মাইক্রোগ্রাম ও ২৫০ মাইক্রোগ্রাম ডোজে ২৮ দিনের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি করে শট দেওয়া হয়। তারা এতদিন পর্যবেক্ষণে ছিলেন। দেখা গেছে, প্রত্যেকের শরীরেই আরএনএ ভাইরাসের প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
2021-01-30 06:29:31
আপনার মতামত লিখুন :